অবহেলার যন্ত্রণা
আমি জানি, আমি তোমার কাছে কতটা মূল্যহীন। তবুও তোমার কাছে সামান্য একটু সময় চাইতাম, তুমি কেমন আছো সেটা জানব বলে। তুমি খাওয়ার পর আমি খেতে বসব, তাই জিজ্ঞেস করতাম তুমি খেয়েছ কি না। আমি বুঝতাম তুমি আমাকে অবহেলা করতে, কিন্তু তবুও বেহায়ার মতো বারবার তোমায় এসএমএস করে একটু কথা বলতে চেয়েছি। আমি জানতাম, আমার কথাগুলো তোমার ভালো লাগত না। তবুও নিজের কথা না ভেবে, শুধু তোমার ভালোর জন্য পাগলের মতো কতবার তোমাকে বুঝিয়েছি। কিন্তু তুমি বোঝোনি, বুঝবেই-বা কেন, কথাগুলো যে আমি বলেছিলাম।
আজকে সবই স্মৃতি। তোমার থেকে আজ আমি অনেক দূরে, অনেক বেশি দূরে। বুকের সব যন্ত্রণাকে ভুলে থাকার জন্য আমাকে বদলে যেতে হবে, যদিও সেটা ভালো থেকে খারাপে। তোমার দেওয়া অবহেলার কষ্টগুলোও বদলে গেছে, বিন্দু থেকে বৃত্ত হয়ে প্রাণঘাতী বোমার আকার ধারণ করেছে।
আচ্ছা, আমার কথা কি তোমার একটুও মনে পড়ে না?
আজও প্রতিটা মুহূর্ত জানতে ইচ্ছা করে, তুমি কেমন আছো?
সত্যিই কি অনেক বেশি ডিস্টার্ব করেছিলাম, যার জন্য এভাবে তাড়িয়ে দিলে? এত বেশি ডিস্টার্ব করার পরেও কি তোমাকে বোঝাতে পারিনি, কতটা পাগল ছিলাম তোমার জন্য...
এতটা অবহেলা করলে আমাকে?
আমার চোখের অশ্রুগুলো তোমাকে চিৎকার করে বলতে চাইছে, আমি আর পারছি না, হয়তো নিজেকে শেষ করে ফেলব।
অবহেলার মরণ যন্ত্রণা দিয়ে একটু একটু করে শেষ করে দেওয়ার থেকে একেবারে যদি খুন করে ফেলতে, তবুও হয়তো কম কষ্ট পেতাম।
হয়তো আমার এ কথাগুলো তোমার কাছে পৌঁছাবে না। মিথ্যে আশায় তবুও একটা অনুরোধ করছি, জীবনে কাউকে কখনো অবহেলা কোরো না। অবহেলা শুধু খারাপই নয়, একটা জঘন্য জিনিস। জীবন্ত একটা মানুষকে কাঠ পোকার মতো ভেতর থেকে শেষ করে দেয়। কষ্ট থেকে বাঁচতে যার একমাত্র সম্বল হয়ে ওঠে ‘মৃত্যু’।
ভালো থেকো প্রিয়, ভালো থাকুক তোমার সব বন্ধুত্ব।
দোয়া করি, আমার মতো করে সবাই যেন তোমাকে গুরুত্ব দেয়। অবহেলার কষ্টটা যেন তোমাকে কখনোই বুঝতে না হয়।
Comments
Post a Comment